শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পদ্মা পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে রাজধানী ঢাকামুখী শত শত যানবাহন। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে শত শত যানবাহন। যার অধিকাংশই পণ্যবাহী ট্রাক।
প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির অপেক্ষায় বসে থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা। বেশি কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুদের।
শবে বরাত উপলক্ষে টানা তিনদিন ছুটি পেয়ে রাজধানীগামী শতশত ট্রাক ও প্রাইভেটকার বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই একযোগে দৌলতদিয়ায় আসায় এবং আগের আটকে থাকা গাড়ির সঙ্গে মিশে দুপুর থেকে অসহনীয় যানজটে থমকে গেছে দৌলতদিয়া ঘাট।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। সিরিয়ালে বসে থেকে ফেরিতে ওঠার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণছেন যাত্রী ও চালকেরা। তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও পচনশীল পণ্য বোঝাই ট্রাক পারাপার করছে।
অপেক্ষমাণ ট্রাকের চালকদের সঙ্গে আলাপকালে কুষ্টিয়া থেকে রাজধানীগামী ট্রাকের চালক মো. হাতেম আলী জানান, সোমবার ভোর ৬টায় দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। এখন বেলা পৌনে ১২টা বাজে। ফেরির সিরিয়াল পাইনি। সময়মত ঢাকা পৌঁছাতে না পারলে মহাজন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা কাগজ বোঝাই ট্রাকের চালক হেলাল মাহমুদ জানান, গতবার রাত ১২টার দিকে গোয়ালন্দে সিরিয়ালে আটকে ছিলাম। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ফেরিতে ওঠার সিরিয়াল পেয়েছি। রাতে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে।
এসবি পরিবহনের যাত্রী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বড় ছেলে ঢাকার মিরপুরে থেকে লেখাপড়া করে। তাকে দেখতে পরিবারসহ ঢাকায় যাচ্ছি। সকাল সাড়ে ৮টায় ঘাটে এসে পৌঁছেছি। এখন বাজে দুপুর ১টা। ফেরিতে উঠলাম মাত্র। দৌলতদিয়া ঘাটে এলেই সিরিয়ালে আটকে বসে থাকতে হয়। প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে চরম কষ্ট হয়।
ঢাকায় চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন মাদারীপুরের শাবানা বেগম। বলেন, আমি বাসে করে ঢাকা যাচ্ছি। দৌলতদিয়া ঘাটে এসে বাস বসে আছে প্রায় দেড় ঘণ্টা।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে ১৯টি ফেরি যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে চলাচল করছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী গাড়ি ও পচনশীল পণ্য বোঝাই ট্রাক পার করা হচ্ছে। যানবাহনের সিরিয়াল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমবে বলে আশা করছি।
Leave a Reply